বাবা মায়ের আশা ছিল কোনো এক ছেলের বিয়েতে বউ আসবে হেলিকপ্টারে। সাধ থাকলেও সাধ্য হয়ে না ওঠায় অপেক্ষায় ছিলেন মাদারীপুরের ইদ্রিস আলী তালুকদার ও রোকেয়া বেগম দম্পত্তি। অবশেষে বাবা-মায়ের শখ পূরণ করতে শুক্রবার দুপুরে মাদারীপুরের দুধখালী ইউনিয়নের উত্তর দুধখালী গ্রামে নিজ বাড়িতে বউ আনেন ছোট ছেলে দাদন তালুকদার।স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ইদ্রিস আলী ও রোকেয়া বেগমের আট সন্তানের মধ্যে সবার ছোট ছেলে দাদন। পেশায় একজন ব্যাংকার। মিরপুর বাংলা কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক রুমানা শবনমের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। বাবা মায়ের সেই শখ পূরণ করতে ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে হেলিকপ্টারে চড়ে আসেন এই নবদম্পত্তি। এ সময় আশপাশের কয়েক গ্রামের হাজারো মানুষ জড়ো হন এ দৃশ্য দেখতে। হেলিকপ্টারে নববধূ আনায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।স্থানীয় শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রামের মানুষ এত কাছ থেকে কোনোদিন হেলিকপ্টার দেখতে পায়নি। হেলিকপ্টার গ্রামে আসায় তারা আনন্দিত। বরের ভাই শাহীন বলেন, তার ছোট ভাই বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য হেলিকপ্টারে করে বউ নিয়ে গ্রামে এসেছে। এতে একদিকে তার ছোট ভাই বাবা মায়ের স্বপ্নটা পূরণ করেছে অন্যদিকে গ্রামবাসীও হেলিকপ্টার দেখে আনন্দ পেয়েছে। কনে রুমানা শবনম বলেন, নতুন এ অভিজ্ঞতা আমার ভালো লেগেছে। গ্রামবাসীরা আমাদের বরণ করে নিয়েছেন। এটা বেশ উপভোগ করেছি। এ ব্যাপারে বর দাদন তালুকদার জানান, তারা আট ভাই বোন। ছোট ছেলে হিসেবে বাবা মায়ের শখ পূরণ করেছি। ঘণ্টায় এক লাখ টাকা হিসেবে হেলিকপ্টারটি ভাড়া করেছি।বরের বাবা ইদ্রিস আলী তালুকদার বলেন, এক সময় পরিবারের মাঝে তারা আলোচনা করতেন এক ছেলের বউ হেলিকপ্টারে বাড়িতে আনার বিষয়ে। সে কথা মনে রেখে ছেলে বাড়িতে হেলিকপ্টারে বউ এনেছে আজ।