আগামী ৬ অক্টোবর থেকে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটক নিয়ে চলাচল শুরু করবে ‘এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস’। এরপর ৩ নভেম্বর থেকে চালু হবে চট্টগ্রাম থেকে বিলাসবহুল ক্রুজশিপ ‘এমভি বে ওয়ান’।মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়। এ বহরটিতে শিগগির ‘বারো আওলিয়া’ নামে নতুন আরেকটি ক্রুজশিপ যুক্ত হবে বলেও জানান তারা।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস সকালে কক্সবাজার এয়ারপোর্ট সড়কের বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে যাত্রা শুরু করে দুপুরে সেন্টমার্টিন পৌঁছাবে। একইদিন বিকেলে সেন্টমার্টিন থেকে ফিরতি পথ ধরে রাতে কক্সবাজার পৌঁছাবে। এ জাহাজে ১৭টি ভিআইপি কেবিন ও তিন ক্যাটাগরির প্রায় ৬০০ আসন এবং আধুনিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। জাহাজটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ৫৫ মিটার এবং প্রস্থ ১১ মিটার।এ জাহাজে যাতায়াতে সাগর ও প্রবালদ্বীপ দেখার জন্য তৈরি করা হয়েছে এমভি সেন্টমার্টিন ক্রুজ নামে একটি বার্জ। বড় হলরুম সদৃশ এ বার্জে বসে সেন্টমার্টিন আইল্যান্ড, ছেড়াদ্বীপ, ঘোড়াদ্বীপ এবং নয়নাভিরাম সূর্যাস্ত দেখানোর ব্যবস্থা রয়েছে। জাহাজটিতে রাউন্ড ট্রিপে সর্বনিম্ন ভাড়া তিন হাজার ২০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৮ হাজার টাকা।এই নৌযানটিতে তিন ক্যাটাগরির প্রায় ৬০০টি আসন রয়েছে। এরমধ্যে আছে সি ভিউ এসি সোফা সিটিং-ক্রিসেন্ট টিমাম, ভিআইপি ও ভিভিআইপি কেবিন, সাইট ভিউ এসি কেবিন, রুফটপ, কনফারেন্স রুম, ডাইনিং স্পেস ও প্রশস্ত ব্যালকনিসহ আধুনিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।উল্লেখ্য, মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি ও নাফ নদীর বিভিন্ন স্থানে ডুবোচর দেখা দেওয়ায় সম্প্রতি সাগরপথে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। তবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল এ নির্দেশনার বাইরে রাখা হয়েছে।