বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তের শূন্য রেখায় পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে ওমর ফারুক (১৭) নামে এক রোহিঙ্গা কিশোর নিহত হয়েছে।রবিবার (২ অক্টোবর) সকালে সীমান্তের পূর্বে পাহাড়ি এলাকা থেকে রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ফারুক বান্দরবানে অবস্থানরত রোহিঙ্গা মো. আয়ুবের ছেলে।ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, ঘুমধম সীমান্তের তুম্রু এলাকার ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া এক রোহিঙ্গা যুবক রবিবার (২ অক্টোবর) শূন্যরেখা পার হয়ে মিয়ানমারের ভূখণ্ডে যান। এসময় সেখানে একটি মাইন বিস্ফোরিত হলে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম শূন্য রেখায় অবস্থিত রোহিঙ্গা শিবিরের মাঝি আবদুর রহিম জানান, ‘ওমর ফারুক ও মো. আবদু ইয়্যা নামে দুই রোহিঙ্গা রবিবার সকালে তুমব্রুর মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার পাহাড়ি ছড়ায় মাছ শিকারে বের হয়। এসময় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে ওমর ফারুকের দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে সে মারা যায়। আরেকজন প্রাণে রক্ষা পায়। পরে তার মাধ্যমে খবর পেয়ে ফারুকের মরদেহ উদ্ধার করে সীমান্তবর্তী একটি কবরস্থানে দাফন করা হয়।’নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গার মৃত্যুর খবর গোয়েন্দাদের কাছ থেকে শুনেছি। বিষয়টি কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম তারিক বলেন, ‘মাইন বিস্ফোরণের বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’