বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের অভ্যন্তরে থেমে থেমে আজও গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ছোড়া হয়েছে ১২-১৫টি আর্টিলারি ও মর্টার শেল। একমাস ধরে ওয়ালিডং পাহাড়ের পূর্ব দিকে খ্য মং সেক পাহাড়ে স্বাধীনতাকামী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর যুদ্ধ চলছে।সীমান্তের বাসিন্দারা বলছেন, এই গোলাগুলির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সীমান্তে বসবাসকারী মানুষ। আজ সকালেও প্রতিদিনের মতো হঠাৎ ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠে। মিয়ানমারের মর্টার শেল ছোড়ার আঘাতে এরকম প্রায়ই অনুভব হয়। এই সীমান্তে গুলির বিষয়টি এখানকার মানুষের কাছে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে গেছে। কারণ এ ধরনের ঘটনা এখানে প্রতিদিনই ঘটছে।নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষটা ক্রমান্বয়ে রাখাইন রাজ্যের পূর্ব দিকে (মংডু শহরের দিকে) ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন দুই পক্ষের লোকজনের হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির ঘটনা আগের তুলনায় কমে আসায় ধুমধুম সীমান্তের মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করলেও আতঙ্ক যাচ্ছে না। ওয়ালিডং পাহাড় থেকে থেমে থেমে ছোড়া মর্টার শেলের বিকট শব্দে এপারের ভূখণ্ডও কাঁপছে। তুমব্রু বাজারের দোকানপাট খোলা হলেও লোকজনের তেমন সমাগম ঘটছে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর উপস্থিতিও কমে গেছে। বাংলাদেশ সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে আছে বিজিবি।