বিশ্বে প্রতি চার মিনিটে এক হাজার শিশু জন্ম নেয়। সিআইয়ের ফ্যাক্ট বুক থেকে এ তথ্য তুলে ধরে বিশ্বের কোন দেশে কত শিশুর জন্ম হয়, তার তালিকা এসেছে ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্টের প্রতিবেদনে। দেখা যায়, প্রতি চার মিনিটে জন্ম নেওয়া হাজার শিশুর মধ্যে ভারতে জন্ম নেয় সবচেয়ে বেশি শিশু। ভারতের জনসংখ্যা প্রায় ১৪০ কোটি। দেশটি জনসংখ্যার নিরিখে সর্বোচ্চ স্থানে উঠে আসার পথে রয়েছে। বিশ্বে চার মিনিটে জন্ম নেওয়া হাজার শিশুর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার ভারতে জন্ম নেয় ১৭২টি শিশু।একটি বিষয় হলো, ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্টের তালিকায় ভারতের স্থান সর্বোচ্চ হলেও দেশটির স্থূল জন্মহার (প্রতি হাজার মানুষে এক বছরে কতজন শিশু জন্ম নেয়) বিশ্বের গড় অনুপাতের চেয়ে কম। ভারতের জন্মহার ১৬ দশমিক ৮। আর বৈশ্বিক হার ১৭ দশমিক ৭। চীন এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তবে এ দেশেও ভারতের মতই জন্মহার তুলনামূলকভাবে বৈশ্বিক হারের চেয়ে কম। তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা নাইজেরিয়ার জন্মহার বৈশ্বিক হারের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। আফ্রিকার দেশটির জন্মহার ৩৪ দশমিক ২।এ তালিকায় দেখা যায়, প্রতি চার মিনিটে বিশ্বে জন্ম নেওয়া হাজার শিশুর মধ্যে বাংলাদেশে জন্ম নেয় ২১টি শিশু। বাংলাদেশ তালিকার দশম স্থানে রয়েছে।নাইজেরিয়ার জন্মহার এত বেশি কেন? নাইজেরিয়ার জন্মহার বৃদ্ধির পেছনে নানা কারণ আছে। কিন্তু একটি বড় কারণ হলো, এটি একটি উন্নয়নশীল দেশ। মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) নিরিখে বিশ্বে নাইজেরিয়ার স্থান ১৩১তম। দেশটিতে নারী শিক্ষার বিস্তার যতটা দরকার, সেই অনুযায়ী হয়নি। নারী শিক্ষায় পিছিয়ে পড়ার সঙ্গে উচ্চ জন্মহারের একটি নিবিড় যোগসূত্র আছে বলে মনে করা হয়। বিশ্বে প্রতিদিন কয়েক লাখ শিশুর জন্ম হলেও তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, ১৯৬০–এর দশক থেকে বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে। নানা কারণে এটা ঘটছে। এর মধ্যে আছে— মানুষের আর্থিক অবস্থা ভালো হচ্ছে। সম্পদ বৃদ্ধির সঙ্গে নিম্ন জন্মহারের সম্পর্কের কথা অনেক গবেষণায় উঠে এসেছে। মানুষ গ্রাম থেকে শহরমুখী হচ্ছে।আগামী ২১০০ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ০ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছাবে। তাই বলা যায়, সে সময় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শূন্যে পৌঁছাবে।