ভারতে লাগামহীম মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে জিএসটি (ট্যাক্স) বাড়ানোর প্রতিবাদে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে কংগ্রেস।শুক্রবার (৫ আগস্ট) সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে দলটি। সেই সময়ই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্গা গান্ধীকে আটক করে পুলিশ।পুলিশের দাবি, এ বিক্ষোভের অনুমতি ছিল না। অভিযানের সময় বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়।ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, এ সময় ভারতীয় রাজনীতিক ও আন্তর্জাতিক কূটনীতিক শশী থারুরকে আটক করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) কংগ্রেস সাংসদ দিগ্বিজয় সিং মূল্যবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতির মতো বিষয়গুলোর রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে মিছিল করার আহ্বান জানান। দলের শীর্ষ নেতারা দলের প্রতিবাদের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবন ঘেরাও করতে প্রস্তুত। এ পরিপ্রেক্ষিতে নয়াদিল্লি জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে মোদি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে রাহুল বলেছেন, দেশে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় এক শতাব্দী আগে ভারত ইটের উপর ইট দিয়ে যে গণতন্ত্র তৈরি করেছিল, চোখের সামনেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।কেন্দ্রের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী কায়দায় সরকার চালানোর অভিযোগ তোলেন রাহুল। হাতে কালো ব্যান্ড বেঁধে প্রতিবাদ জানান সোনিয়া গান্ধী।রাহুলের অভিযোগ, বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। প্রতিবাদের সুর একটু চড়া হলেই ইডি লাগিয়ে তা দমনের চেষ্টা করছে মোদি সরকার।রাহুল গান্ধীর দাবি, দেশের কোনো প্রতিষ্ঠান নিরপেক্ষ নয়। যা দেখছি তা ভারতীয় গণতন্ত্রের মৃত্যু। সংসদে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। দেশজুড়ে একনায়কতন্ত্র কায়েম করা হচ্ছে। সংবিধান লঙ্ঘিত হচ্ছে। বিরোধীরা দেশের আইন ব্যবস্থা, বিচার ব্যাবস্থার ভরসায় লড়ে। কিন্তু বিরোধিতা করলেই তার পেছনে ইডি লাগানো হচ্ছে। যে গণতন্ত্রকে তৈরি করা হয়েছিল, তা ধ্বংস করা হচ্ছে। প্রতিদিন গণতন্ত্রের মৃত্যু হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, যত সত্য বলব, তত আমার উপর আক্রমণ হবে। তবে আমি এই বিষয়টি উপভোগ করি। দেশে গণতন্ত্র এখন স্মৃতি। স্বৈরাচারিতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেই তাকে নিষ্ঠুরভাবে আক্রমণ করা হয়, জেলে দেওয়া হয়, গ্রেফতার করা হয় এবং মারধর করা হয়।