চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ছড়াঘোনা এলাকায় লবণের মাঠ দখল বেদখল নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্ঠি হয়েছে। এসব লবণের মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে ঘটছে হামলা, মামলা,সংঘাত ও সংঘর্ষ। এ পর্যন্ত লবণের মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে চকরিয় থানায় মামলা হয়েছে। চিহ্নিত একটি গ্রুপ ছড়াঘোনা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ইজারা দেয়া জমি চাষে বাঁধাসহ নানা পাঁয়তারা করছেন বলে সংশ্লিষ্ঠ থানা ও স্থানীয়দের অভিযোগ। জানা গেছে, উপজেলার খুটাখালী মৎস্য ঘের অঞ্চল ৩নং ওয়ার্ডের ছড়াঘোনার একাধিক জমির মালিক থেকে ২০২৪ সালের লবণ মৌসুমের জন্য প্রথম দফে ১৬৬ কানি, পরবর্তীতে ১৫৮ কানিসহ ৩২৪ কানি জমি লাগিয়ত নেন বর্নিত ইউনিয়নের ফুলছড়ি শিয়াপাড়া গ্রামের মৃত নুর হোছনের পুত্র ব্যবসায়ী ও আল আমানত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ বাবুল (৩৫)। চলতি মৌসুমে এসব জমিতে লবণ চাষ করতে গেলে নানাভাবে হয়রানি ও বাঁধা প্রদান করে একটি প্রভাবশালী চক্র। এমনকি প্রকাশ্যে বাজারে হুমকি ও জানে মেরে লাশ গুম করে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে এলাকাছাড়া করা হবে বলে হাঁকাবকা করেন। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ব্যবসায়ী মোঃ বাবুল গত ২৯ ডিসেম্বর চকরিয়া থানায় সাধার ডায়রী (জিডি ১৪৬১) করেন। থানায় জিডি করার পর ঐ চক্রের সদস্যরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। পথে ঘাটে প্রকাশ্যে বাবুলের লোকজনকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। পরদিন ৩০ ডিসেম্বর ছড়াঘোনা মৎস্য ঘের থেকে ঘের শ্রমিক রবিউল আলম (৩০) মাছ নিয়ে খুটাখালী বাজারে আসার পথে ঐ চক্রের সদস্যরা গতিরোধ করে। এসময় তাকে মারধর করে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় মোহাম্মদ বাবুল বাদী হয়ে অঙ্গাতনামা ৩/৪জন সহ চিহ্নিত ২ জনকে আসামি করে চকরিয়া থানায় গত ৪ জানুয়ারি মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং ৮৬/৬)। এতে আসামীরা হলেন বর্নিত ইউনিয়নের মেদাকচ্ছপিয়া হেতালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত নুর হোছনের পুত্র জিয়া উদ্দীন কাজল (৩২) ও হাজী পাড়া গ্রামের মৃত নবী হোছনের পুত্র জাহেদ হোসেন (৪০)। মামলার বাদী ব্যবসায়ী মোঃ বাবুল বলেন, ছড়াঘোনায় ৩২৪ কানি জমি চলতি মৌসুমে লাগিয়ত নিই। তৎমধ্যে প্রায় ৮০ কানি জমির চাষ নিয়ে ঘোনা দখলকে কেন্দ্র করে একটি ভাড়াটিয়া বাহিনী এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে। তবে ঐ এলাকার গরিব ও অসহায় মানুষেরা দীর্ঘদিন ধরে বাপ-দাদা ও পূর্ব পুরুষেরা মাছের ঘোনা ও লবণের চাষ করে আসলেও হঠাৎ বিশেষ গ্রুপের কুনজর পড়ে মাছের ঘোনা এবং লবণের মাঠের ওপর। এ নিয়ে এলাকার নিরীহ ও গরিব-অসহায় মানুষদের বিরুদ্ধে মামলা-হামলা ও ভয় দেখিয় ঘোনা দখলের পাঁয়তারা করে আসছে চক্রটি। খোদ এসব অত্যাচার থেকে রেহাই পায়নি ছড়াঘোনা জমি ইজারাদার, মালিক-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টরা। তিনি ঐ গ্রুপের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবীও জানান। অভিযোগে জানা গেছে, সম্প্রতির সময়ে ছড়াঘোনা সংশ্লিষ্ট জমির মালিক বাককুমপাড়ার মৃত আবুল কাসেমের পুত্র মোহাম্মদ আলীকে ঐ গ্রুপ হুমকি দেয়। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর চকরিয়া থানায় সাধারন ডায়রি (জিডি ১৪৫৮) করেন। এছাড়াও অভিযুক্ত জিয়া উদ্দীন কাজল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ বাবুলের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে লবণ দেয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা নেয়। ঐ টাকা ফেরতদানে কাজল তার নামীয় ইসলামি ব্যাংকের একটি সাড়ে ১১ লাখ টাকার চেক দেয়। চেকটি ইতিমধ্যে ডিজঅনার হওয়ায় ব্যবসায়ী বাবুল আইনজীবীর মাধ্যমে জিয়া উদ্দীন কাজলকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন বলেও জানা গেছে। জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকরিয়া থানার এসআই কামরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। ঘটনায় বিষয়ে জানার জন্য কাজল নামে একজনের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ছড়াঘোনা মৎস্য ঘের শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।