মধ্য বয়সের বিড়ম্বনা,
এখন কেউই আর বলে না আমি তোমাকে ভালোবাসি,
এই শুনো+ তাড়াতাড়ি উঠে নীল রঙের
শাড়ি টা পড়ে নাও ।
হাতে পড়ো নীল রঙের চুড়ি,,
নীল রঙের একটি টিপ দিতে
ভুলনা যেন কপালে ,
এসো দুজনে পথ হারাই সাগরের তীরে,সবুজ বন বনানীর মাঝেখানে, সাগরের অতল গহ্বরে তলিয়ে যাই,,আকাশের নীল দিগন্তের বুকে জড়িয়ে
আজ শুধু দুজন দুজনার হয়ে যাবো। এখন আর কেউ বলে না চলো
রিকশা নিয়ে ঘুরতে যাবো
সারা শহর , মাট প্রান্তরে ।
সাগরের ঢেউয়ের সাথে পাল্লা দিয়ে
আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা চেয়ারে বসে থাকবো ।
দেখব মন ভরে লাল আবিরের সূর্যের অস্ত যাওয়া,,
দুই কাপ গরম চা বা ব্লাক কপি নিয়ে বসা হয় না ইদানীং,,,
পছন্দসই একটি গান গাইতে গাইতে
আমাদের সময় চলে যেতো,,ইদানীং গান শুনা হয় না,, ঝুমঝুম বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে একাকার হতে পারি না। অনেক বছর পেরিয়ে গেলো চাঁদের আলোয় বসে ঝলমলে জ্বোসনা দেখা হয় না।
আহা কী আনন্দ মিলেমিশে একাকার হয়ে যেতো
সেই সোনালী দিনগুলো গুলো তে। মনে হলে
এখন চোখের সামনে ভেসে উঠে জলে ।
সেই চেনা মুখ, সেই চির চেনা হাসি,
কোথায় যেন হারিয়ে গেল
এখন শুধু কষ্টের সঙ্গে করি বসবাস,
কষ্টের নোনা জলে ভাসি।
লেখক –
হাসনা হেনা,
নারী নেত্রী ও সমাজ সেবিকা