চকরিয়া জামে সালমান মুহিবউল কোরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানা’র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মুহিব উল্লাহ’র নিজস্ব আয়োজনে, জামে সালমান মুহিবউল কোরআন মাদ্রাসার সৌজন্যে এক সংক্ষিপ্ত পরিসরে ইফতার পার্টি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ১১ রমজান ২২ মার্চ ২০২৪ ইংরেজী তারিখ চকরিয়া পৌর শহরের সাম্পান রেস্তোরা হল রুমে হাফেজ মুহিব উল্লাহ’র সভাপতিত্বে এ ইফতার পার্টি অনুষ্ঠিত হয়।ইফতার পার্টিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চকরিয়া উপজেলা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি, চকরিয়া সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি, দি ডেইলী নিউ নেশনের চকরিয়া-পেকুয়া প্রতিনিধি ও আলোকিত চকরিয়া ডট কম এর সম্পাদক ও প্রকাশক বি এম হাবিব উল্লাহ। সঞ্চালনা করেন, দৈনিক আমাদের চট্টগ্রামের চকরিয়া প্রতিনিধি মো. ওমর আলী। এ সময় বিভিন্ন স্তরের গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে হাফেজ মুহিব উল্লাহ বলেন, তার সৌদি কপিল সৌদি আরবের নাগরিক, শেখ সালমান আব্দুল্লাহ আল আমরির অর্থায়নে তার একান্ত প্রচেষ্টায় তিনি উপরোক্ত মসজিদ, হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন।উল্লেখ্যযে, চকরিয়া উপজেলার পুর্ব কাকারা পাহাড়তলীতে পাহাড় অধ্যুষিত অজপাড়া গ্রামের অন্ধকার দুর করতে পবিত্র কোরআনের মশাল নিয়ে দৃশ্যমান হয়ে দাড়িয়ে আছে নবনির্মিত একটি বিশাল পরিসরে মসজিদ, হেফজখানা ও এতিম খানা। যাতে কোরআনের মশালের হাতছানিতে একঝাক কোরআনের পাখি সাড়া দিয়ে সমবেত হয়েছে এ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। সৌভাগ্যের প্রতিক এ প্রষ্ঠিানের নাম-চকরিয়া জামে সালমান মুহিবউল কোরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানা। তবে প্রাথমিক অবস্থায় এ প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল জামে সালমান দারুল আইতাম তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসা। শেখ সালমান আব্দুল্লাহ আমরির নির্দেশনায় ও স্থানীয় লোকজনের পরামর্শ এবং সমর্থন নিয়েই পুনরায় প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হয়।যেখানে কেবল এতিম শিশশু কিশোররাই মহান আল্লাহ প্রদত্ত পবিত্র কোরআনের শিক্ষা অর্জন করতে পারবেন। তাও সম্পুর্ণরুপে বিনা বেতনে পড়া লেখা, থাকা খাওয়া, চিকিৎসা সেবা ও সময়ে বৃত্তি সুবিধাও ভোগ করবেন এতিম এসব শিক্ষার্থীরা।
যার বদৌতে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে যে মানুষটি সুদুর সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় এ মহতী উদ্যোগ নিয়ে সরজমিন এসে সফল বাস্তবায়নে আলোর মুখ দেখে গেছেন তিনি হলেন, সৌদি আরবের নাগরিক পরম ধর্মপরায়ন ব্যাক্তি শেখ সালমান আব্দুল্লাহ আল আমরি। তিনি এবং তার প্রতিনিধি বা প্রতিষ্ঠাতার নাম করণে বহুল প্রচারে নাম ফলক উন্মোচিত হলো চকরিয়া জামে সালমান মুহিবউল কোরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানা। চকরিয়া জামে সালমান দারুল আইতাম মুহিব্বুল কোরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানা স্থাপনে এ মহতী উদ্যোগে সাড়া দিয়ে যিনি জমি দান করেছেন তিনি হলেন, জমির দাতা, পাহাড়তলীর বাসিন্দা শিক্ষানুরাগী মৃত জামাল উদ্দীন (প্রকাশ পেশকার জামাল)।চকরিয়া জামে সালমান মুহিবউল কোরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা, যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ দ্বিনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্টিত হলো তিনি হলেন, চকরিয়া কাকারার পুলেরছড়ার বাসিন্দা ও সৌদি প্রবাসী আলহাজ্ব হাফেজ মুহিব উল্লাহ। এ মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগের দায়ীত্বশীল ও পদস্থরা হলেন, দীর্ঘদিনের সৌদি প্রবাসি ও যিনি অন্তত ১৫ বার পবিত্র হজব্রত পলন করেছেন তিনি হলেন,আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা নুরুল হক ও হাফেজ মোহাম্মদ তাউহিদুল ইসলাম। মসজিদ এর জন্য পেশ ইমাম ১জন নাম মৌলানা ওবাইদুল হক, মোয়াজ্জিন ১জন নাম হাফেজ জুনাইদুল করিম, মাদ্রাসার সকল স্তরের হিসাব রক্ষক ১জন নাম মৌলানা হারুনর উর রশিদ, বাবুর্চি ১জন নাম- মোহাম্মদ মুহিম। চকরিয়া জামে সালমান মুহিবউল কোরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানা স্থাপিত হয় ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি তারিখ।গত ১ জানুয়ারী ২০২৪ ইংরেজী সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয় মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানা। মদ্রাসায় বর্তমান এতিম শিক্ষার্থী ৪৭ জন, যারা ৭ বছর থেকে ১২ বছর বয়সী শিশু ও কিশোর। তবে প্রতিণ্ঠানের টার্গেট হচ্ছে ৩০০ জন বাবা নেই এন এতিম শিক্ষার্থীর। পাশাপাশি মহিলা হেফজখানা চালুর প্রস্তুতিও চলছে এ প্রতিষ্ঠানে, যাদের বয়স ৭ থেকে ১৮ হতে হবে। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মুহিব উল্লাহ জানান, অন্তত ৩ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত চকরিয়া জামে সালমান মসজিদ মুহিবউল কোরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা ভবন গুলো সম্পুর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে পাহাড়তলী, পুর্ব কাকারা ৯নং ওয়ার্ড, চকরিয়া কক্সবাজার জেলায় সার্বিক অবস্থান।