প্রাইভেটকারে ভাঙা পেনাসনিক ভিডিও ক্যামেরা, চ্যানেল সংগ্রামী ৭১, সিটি প্লাস ২৪ এর স্টিকার সম্বলিত দুটি মাইক্রোফোন নিয়ে ইটভাটায় চাঁদাবাজির সময় তিন ভুয়া সাংবাদিককে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন ইটভাটার মালিকেরা।গত তিনদিন ধরে রাউজান উপজেলার বৃন্দাবন, মেলুয়া ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় চাঁদাবাজি করছিল তারা। সর্বশেষ রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ইটভাটায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা পড়েন তারা।বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তাদের ধরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।আটকরা হল, দৈনিক গণতদন্তের ব্যুরো চিফ ও ঢাকা প্রেস ক্লাবের সদস্য পরিচয়ধারী কর্ণফুলী উপজেলার মৃত নুর হোসেনের ছেলে আহম্মদ নুর (২৮), দৈনিক ঢাকার টাইম ও মানবাধিকার সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি পরিচয়ধারী হাটহাজারী উপজেলার মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে আবুল কালাম (৫২) ও একই উপজেলায় ঢাকার টাইম রিপোর্টার পরিচয়ধারী আবদুর রহমানের ছেলে দিদারুল আলম (৩৫)।তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির টাকা, একটি ভাঙা পেনাসনিক ভিডিও ক্যামেরা, চারটি মোবাইল ফোন, চ্যানেল সংগ্রামী ৭১, সিটি প্লাস২৪ এর স্টিকার সম্বলিত দুটি মাইক্রোফোন, দৈনিক আলোকিত নিউজের স্টিকার সাঁটানো একটি প্রাইভেটকার জব্দ করে পুলিশ। জব্দ করা কারে লাটিসোটা পাওয়া যায় বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।স্থানীয় কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমার এলাকায় তিন ভূয়া সাংবাদিককে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে ইটভাটা মালিকেরা। তারা কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকটি ইটভাটায় চাঁদাবাজি করার পর আজ ধরা পড়েছে।ইটভাটার মালিক সমিতির নেতা এসএম শাহেদ উল্লাহ জনি বলেন, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়ি উপজেলায় অবস্থিত ইটভাটায় কয়েকটি গ্রুপে ভুয়া সাংবাদিকের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের কারণে প্রকৃত সংবাদিকদের সম্মানহানী হচ্ছে। রাউজানে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে তিনজনকে ধরে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সমিতির পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে বলা হয়েছে।রাউজান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন বলেন, স্থানীয়রা তিন ভুয়া সাংবাদিককে আটক করে থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, বিস্তারিত পরে জানানো হবে।