যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ঘটনার মামলার ২ নম্বর আসামি পেকুয়ার বারবাকিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বদিউল আলম কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।সোমবার (৩০ অক্টোবর) কক্সবাজার চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বদিউল আলম জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন। এ সময় তার সঙ্গে জামিন আবেদন করেন মামলার প্রধান আসামি সাবেক পেকুয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা নুরুজ্জামান মঞ্জু। আবেদন নামঞ্জুর করে তাকেও কারাগারে পাঠান আদালত।জানা গেছে, গত ১৫ আগস্ট সাঈদীর গায়েবানা জানাজা নামাজের পর পেকুয়ার বারবাকিয়া বাজারে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি পৃথক মামলা করেন। ওই মামলা দুটির ১ ও ২ নম্বর আসামি হলেন নুরুজ্জামান মঞ্জু ও ইউপি চেয়ারম্যান বদিউল আলম। ওই দুই মামলায় ২৩ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের অস্থায়ী জামিন পান তারা। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় কক্সবাজারের চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ জামিনের জন্য আবেদন করেন তারা।পুলিশের করা ওই মামলা দুটির এজাহারে বলা হয় জামায়াত নেতা নুরুজ্জামান মঞ্জু ও বারবাকিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বদিউল আলমের নির্দেশনায় গায়েবানা জানাজা নামাজের শেষে বেআইনিভাবে কিছু জনতা সশস্ত্রভাবে পুলিশের হামলা করে। হামলায় পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ পরিদর্শকসহ প্রায় ২০ জন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহতি হন।