ছবিটি টেকনাফের মেরিন রোড সংলগ্ন উত্তাল সাগর।ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে সর্বোচ্চ ২৮৯ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির শঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এদিকে এই বৃষ্টিতে নদনদীর পানি বেড়ে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলার অনেক স্থান আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তায় বলা হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে আজ ১৩ মে সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (২৮৯ মিলিমিটার) বর্ষণ হতে পারে। এই অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, যমুনা ও পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে পাচ্ছে।আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকা ও পার্বত্য অববাহিকার স্থানসমূহে এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকার অধিকাংশ স্থানে মাঝারী থেকে ভারী/অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।এই সময়ে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য অববাহিকার মুহুরী, হালদা, কর্ণফুলী, সাঙ্গু, মাতামুহুরী, বাঁকখালি, নাফ নদীর পানি স্তর সময় বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে এবং এ নদী অববাহিকাসমূহের কিছু নিম্নাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।একসঙ্গে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবন জেলার অনেক স্থান আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকিতে রয়েছে।পাশাপাশি আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে অতি ভারী বৃষ্টিপাতজনিত কারণে কক্সবাজার সদর, রামু, টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার অনেক স্থান আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।