পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করেছে আধাসামরিক বাহিনী র্যাঞ্জার্স।মঙ্গলবার (৯ মে) আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্টে জামিন নিতে গেলে তিনি গ্রেপ্তার হন।ইমরান খানের দল তেহরিক-ইনসাফের মুখপাত্র সাইফুল্লাহ নিয়াজি স্থানীয় গণমাধ্যমে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, আইনশৃংখলা বাহিনী তাকে একটি কালো গাড়িতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে।ইমরান খানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।পিটিআই আইনজীবীরা গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আজমির ফারুকীর নজরে এসেছে এ ঘটনা। তিনি ইসলামাবাদের আইজি ও স্বরাষ্ট্র সচিব, ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে ইমরান খানের গ্রেফতারের কারণ ব্যাখ্যা করার জন্য সমন জারি করেছেন।গ্রেপ্তারের আগে ভিডিওবার্তায় যা বলেছিলেন ইমরান খান-পাকিস্তানি সাংবাদিক এহতেশাম উল হক তার টুইটার থেকে ইমরান খানের দেয়া ভিডিওবার্তা প্রকাশ করেছেন। ভিডিওবার্তায় জনগণের উদ্দেশে ইমরান বলেন, ‘যতক্ষণে আমার কথা আপনাদের কাছে পৌঁছাবে, ততক্ষণে একটি অবৈধ মামলায় আমাকে বন্দী করা হবে। পাকিস্তানে আমাদের মৌলিক ও আইনগত অধিকারের দাফন হয়ে গেছে। এরপর হয়তো আপনাদের সঙ্গে আমার কথা বলার সুযোগ হবে না। তাই দুই-তিনটি কথা বলতে চাই।সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত, পাকিস্তানের মানুষ আমাকে ৫০ বছর ধরে চেনে। আমি কখনোই পাকিস্তানের আইনের বিরুদ্ধে যাইনি বা নিয়ম ভাঙিনি। ক্ষমতায় যাওয়ার পর আমি যত লড়াই করেছি, তা আইনের গণ্ডির ভেতরে থেকেই করেছি।বর্তমান পরিস্থিতির সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমার সঙ্গে যা হচ্ছে, সেটা আমি আইন লঙ্ঘন করেছি বলে হচ্ছে না। এসব করা হচ্ছে যাতে করে আমি সত্যের পথ থেকে পিছু হটি। এই দুর্নীতিগ্রস্ত চোরের দল ও আমদানি করা (বিদেশি মদদে ক্ষমতায় আসা) সরকারকে যেন আমি মেনে নিই, সে জন্য।’দুই মিনিট ২০ সেকেন্ডের ভিডিওবার্তার শেষে ইমরান বলেন, ‘আপনাদের সবার কাছে আমার আবেদন, ন্যায়ের জন্য লড়তে সবাই পথে নামুন। স্বাধীনতা কাউকে থালায় সাজিয়ে দেয়া হয় না, এর জন্য লড়াই ও পরিশ্রম করতে হয়। এখন সময় এসেছে পথে নামার।ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর নেতাকর্মীদের ‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের’ আহ্বান জানিয়েছেন তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস চেয়ারম্যান শাহ্ মোহাম্মদ কোরেশি।আজ মঙ্গলবার ( ৯ মে) ইসলামাবাদের হাইকোর্ট চত্বর থেকে গ্রেপ্তার হন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।