কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের আননুর আজিজিয়া মাদ্রাসা ও হেফাজখানার প্রতিষ্টাতা পরিচালক ও শিক্ষক আজিজুল হক রুবেল (৩৪) এর উপর বর্বোরোচিত হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়েছে। যার কারনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠেছে। অবিলম্বে এসব হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনাটি ঘটে উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের পূর্ব পোকখালী এলাকায়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে রুবেলকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বেধড়ক মারধর ও হামলার শিকার আজিজুল হক রুবেল একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে এবং ঈদগাঁও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক বলে জানা গেছে।হাসপাতালে অবস্থানরত আহত রুবেলের স্ত্রী জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার বড় ভাই সোহেল সিকদারের নেতৃত্বে আরো ৪/৫ জন দুষ্কৃতকারী রুবেলকে একা পেয়ে প্রথমে দা দিয়ে কুপিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়, পরে অপরাপর দুষ্কৃতকারীরা এসে উপর্যপুরী হামলা চালায়। এ হামলার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে দেখা যায় রুবেলের বড় ভাই সদ্য বিদেশ ফেরত সোহেল সিকদার দা দিয়ে কোপাচ্ছে, অন্যরা লোহার রড, কাঠের লাঠি দিয়ে মারধর করছে। স্থানীয়রা জানান, আজিজুল হক রুবেলের সাথে তার মা ভাই বোন ও পিতার সাথে জমিজমা, অর্থ সম্পদ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ সংক্রান্ত একাধিক পাল্টাপাল্টি মামলাও চলমান রয়েছে। এই বিরোধের জের ধরে আজকের ঘটনা। ইতিপূর্বে আজিজুল হক রুবেলও তার মা বাবাকে কয়েকবার হামলা করেছিল বলে জানায় স্থানীয়রা। এ বিষয়ে রুবেলের বোন রেসমি সাদেকা বলেন, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তার ভাই বোন মা বাবাকে হামলা করতে আসছিল রুবেল। সেখান থেকে মুলত ঘটনার সূত্রপাত। তাদের কয়েকজন আহত হয়েছে বলে দাবি করেন রেসমি সাদেকা। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, আহত রুবেলের পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেছে। হাত পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানের আঘাতের কাটা চিহ্ন আছে। এসব সেরে উঠতে সময় লাগবে। ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম কবির জানান, অভিযোগ পেলে প্রয়োজীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।