প্রতিবেশী দেশ ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশে ফিরতে এখন আর কোনো বাধা নেই তার। গত মঙ্গলবার ভারতের আসামের এক আদালত আপিল রায়ে এ নির্দেশনা দিয়েছেন। এর আগে আদালত তাকে ওই মামলায় বেকসুর খালাস দেয়। পরে ভারত সরকার তার বিরুদ্ধে আপিল করে। গত মঙ্গলবার আপিল বিভাগের রায়েও তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। বাংলাদেশে ফেরার বিষয়ে ভারত সরকারকে আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন। ভারত থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদ নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।২০১৫ সালের ১০ই মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ই মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ সালাহউদ্দিনকে উদ্ধারের পর সেখানকার একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে। এর পরদিন তাকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার দেখায় মেঘালয় থানা পুলিশ। একই বছরের ২২শে জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগ গঠন করা হয়। সালাহউদ্দিন আহমেদ ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে আসেন। ২০০১ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে এমপি নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন। ভারতে আটকের সময় সালাহউদ্দিন আহমেদ বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। সেই অবস্থায়ই বিএনপি’র ষষ্ঠ কাউন্সিলে তিনি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য