চন্দনাইশে আমন ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। উপজেলার কৃষকদের ঘরে ঘরে এখন নবান্নের উৎসব। তবে ধান কাটার এ ভরা মৌসুমে চলছে শ্রমিক সংকট। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ধান কাটার যন্ত্র হারভেস্টার মেশিনে আমন ধানের ফলন ঘরে তোলার উৎসব চলছে। ভাল ফলনে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটা ও মাড়াই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে ধান কাটার ভরা মৌসুমে শ্রমিক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে জানালেন কৃষকেরা। চন্দনাইশ পৌরসভার আবুল বশর ও পাঠানদণ্ডীর আবদুস ছালাম বলেছেন, শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটা যাচ্ছে না। দু’ বেলা ভাত ও চা-নাস্তাসহ এক হাজার বা তারও বেশি মজুরি দিয়েও শ্রমিক মিলছে না। উপজেলার বরকল, বরমা, সাতাবাড়ীয়া, বৈলতলী, হাশিমপুর, দোহাজারী, ধোপাছড়িতে সীমিত আকারে ধান কাটা চলছে।কৃষক আবদুস ছাত্তার বলেছেন, চন্দনাইশের বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। পুরোদমে ধান কাটা শুরু হওয়ার ব্যাপারে কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। চাষিরা ধান কাটা ও মাড়াই কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চাষিরা বলেন, ধান ক্ষেতে রোগবালাই ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় ফলন ভালো হয়েছে।চলতি মৌসুমে ধানের ভালো ফলন হওয়ায় প্রতি হেক্টর জমিতে ৫.৫ থেকে ৬ টন ধান উৎপাদিত হবে। প্রতি কানিতে ১শ থেকে ১১০ আড়ি ধান উৎপাদন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। ধান কাটা, মাড়াই ও গোলায় তোলা শুরু করেছেন চাষিরা। তবে শ্রমিক সংকট থাকায় মজুরি বেশি গুণতে হচ্ছে কৃষকদের। গত বোরো মৌসুমেও ধান কাটা শুরু হওয়ার পর শ্রমিক সংকট সৃষ্টি হয়েছিল। পরিস্থিতি মোকাবেলায় অনেকে হারভেস্টার মেশিন ব্যবহার করে ধান কাটছেন।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমি। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চাষাবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রাণী সরকার বলেছেন, ধান কাটার জন্য হারভেস্টার মেশিনের ওপর জোর দেয়া হয়েছে শ্রমিক সংকটের কারণে। এতে দ্রুত ধান কাটা ও মাড়াই হয়ে যায়।