চকরিয়ায় টমটমের ধাক্কায় জান্নাতুল তানজিদ নিশকাত রূপা নামে এক শিশু নিহত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পথে মারা যায় সে।এর আগে বিকেলে চকরিয়া-পেকুয়া সড়কের বরইতলী এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিক্সায় ধাক্কা দেয় একটি টমটম। এতে গুরুতর আহত হয় রূপা। তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাকে রেফার করা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে। তবে শিশুটি বাবার কাছে টাকা না থাকায় তাকে চট্টগ্রামে আনতে পারছিলেন না তিনি। পরে বিষয়টি নজরে আসে কক্সবাজারের মেয়র মুজিবুর রহমানের।তিনি ব্যক্তিগতভাবে নগদ ৫৫ হাজার টাকা দিয়ে দ্রুত এম্বুলেন্সে তুলে দেন শিশুটিকে।পরে চট্টগ্রাম আনার পথেই মারা যায় শিশুটি।বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজারের মেয়র মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গাড়ির ধাক্কায় ছোট্ট মেয়েটি যখন মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল তখন পেকুয়া থেকে জেলা পরিষদের নির্বাচনী প্রচারণা শেষে ফেরার সময় মেয়েটিকে দেখতে পাই। মুহূর্তের মধ্যে গাড়ি থেকে নেমে নিজের কোলে করে সিএনজিতে উঠিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু তার আঘাত গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করে। শিশুটির বাবার টাকা না থাকায় আমি নিজের টাকায় ভাড়া করা এম্বুলেন্সে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। কিন্তু সেখানেও বিধি বাম, অসহায় গরীব বাবার মেয়েটির শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু টাকা নেই বলে মেয়েকে চট্টগ্রাম নিয়ে যেতে পারছেন না তার বাবা আবুল কালাম। এরপর ফলোআপ খবর নিতে গিয়ে করুণ অবস্থা দেখে ব্যক্তিগতভাবে নগদ ৫৫ হাজার টাকা দিয়ে দ্রুত এম্বুলেন্সে তুলে দিই। সেইসাথে মেয়েটির যাবতীয় চিকিৎসার পুরো ব্যয়ভার গ্রহণ করবো বলে প্রতিশ্রুতি দিই।