ভালোবেসে অবুঝ প্রাণীদের কাছে টেনেছেন পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের কাস্টোডিয়ান আরজু। তার ভালোবাসার মেলবন্ধনে পরিবর্তন করেছেন শিয়ালের প্রতি মানুষের বিরূপ ধারণা। রাত নামলেই নিয়মকরে খাবার খেতে চলে আসে শিয়ালের দল। তাদের জন্য খাবারে তালিকায় প্রতিদিনই রাখা হয় আলাদা আয়োজন। এ জন্যই হয়তো শিয়ালেরা দল বেধে নিয়মিত হাজির হয় সেখানে। নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার ও তার আশপাশ এলাকায় থাকে এই শিয়ালগুলো। প্রতিদিন তাদের জন্য খাবারের মেন্যুতে থাকে খিচুড়ি, পাউরুটি কিংবা বিস্কুটের ব্যবস্থা। পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাষ্টডিয়ান আরজু করোনাকাল থেকেই এভাবে শিয়ালগুলোকে খাবার দিয়ে আসছেন। বেশ কয়েকটি পয়েন্টে প্রতিদিন অন্তত ৫০টির বেশি শিয়াল তার কাছে খেতে আসে। প্রাণীপ্রেমী আরজু বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এসব প্রাণীদের খাবার সংকট আমাকে অনেক ভাবিয়েছে। সেই ভাবনা থেকেই শিয়ালদের খাবার ব্যবস্থা শুরু করি। প্রথম দিকে খাবার দিলে তারা আসতে চাইতো না। খাবার দিয়ে দুরে চলে গেলে তারা এসে খেয়ে যেত। এভাবে আস্তে আস্তে তাদের মনে বিশ্বাস আসে। এখন তারা সময় হলেই এখানে চলে আসে খাবার খেতে। তারা এখন আমার হাত থেকেও খাবার নিয়ে খায়। তিনি আরও বলেন, সম্পূর্ণ আমার ব্যাক্তিগত খরচে এদের খাবার দেওয়া হয়। তবে পাহাড়পুর দায়িত্বরত সবাই এদের খুব আপন। সবাই এখন তাদের খাবার দেয়। এরা আমাদের কাছে এখন প্রতিবেশীর মতো হয়ে গেছে। বৌদ্ধবিহারের পুরো এলাকাজুড়ে তারা রাতে ঘোরাফেরা করে।