আবারো চোরাইপথে বাংলাদেশে ঢুকেছে রোহিঙ্গারা। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গত কয়েকদিন ধরে সংঘর্ষ চলছে। মিয়ানমারের বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা রাখাইন রাজ্যে অব্যাহতভাবে চলা এ সংঘর্ষের প্রভাব পড়ছে সীমান্ত এলাকায়। এ কারণে মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে আবারও বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন রোহিঙ্গারা।
গত দুই দিনে ১০-১৫ জন রোহিঙ্গা উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য প্রস্ততি নিয়েছে আরও হাজারো রোহিঙ্গা। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, তুমব্রু, উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছেন তারা।পালংখালী অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির নেতা রবিউল হাসান বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যে সংঘর্ষ চলছে, সেটার অজুহাতে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসছে। প্রতিদিনই রোহিঙ্গারা আসছে। অতি সম্প্রতি মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার এশারা বেগম (২৭), সাদেক হোসেন (৪০), মো. তাহের (১৩), মো. শরীফ (৯), বিবি আয়েশা (৭) ও বিবি জান্নাত (৩) পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে’।পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা জানান, রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও পুলিশ ফের অভিযান শুরু করলেও বর্তমান পরিস্থিতি আগের তুলনায় কিছুটা শান্ত। কিন্তু মালয়েশিয়া থেকে পাঠানো ত্রাণের কথা জেনে তারা বাংলাদেশে চলে আসছে। কারণ রাখাইন রাজ্যে নির্যাতনের মাত্রা একটু কমলেও রোহিঙ্গাদের কোনো কাজে বের হতে দিচ্ছে না মিয়ানমারের পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অনাহারে-অর্ধাহারে থাকা রোহিঙ্গারা তাই বাংলাদেশে ছুটছে।থাইংখালী ক্যাম্প-১৯ এর বক্ল মাঝি জানান, কয়েকজন রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছে। বিষয়টি ক্যাম্প ইনর্চাজ বরাবর জানানো হয়েছে। তাদের ট্রানজিট ক্যাম্পে নেওয়া হচ্ছে।পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর চৌধুরী বলেন, ‘মিয়ানমারের বলিবাজার ও সাব বাজার থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ পালিয়ে আসার প্রস্ততি নিচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তারা বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছেন’।রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়োজিত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এ রকম কোনো তথ্য আমরা পাইনি। বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখছি।