গণমাধ্যমে নারীদের উপস্থাপন এখনো জেন্ডারবান্ধব নয়। সংবাদে এখনো ভূত্তভোগী নারী কিংবা পরিবারের জন্য এমন তথ্য ও বিশেষন ব্যবহার করা হয় যা ঐ প্রতিবেদনের জন্য প্রয়োজন নয়। কিন্তু নারীর জন্য অসম্মানজনক। শুধু তাই নয় প্রতিবেদক হিসেবেও নারীরা নেতৃত্বে আসে কম। এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তরা এমন মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে ৬টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত তিনমাসের প্রতিবেদন পর্যবেক্ষন তুলে ধরা হয়। পর্যবেক্ষনে দেখা যায় সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে নারী প্রতিবেদকের নাম আসে মাত্র ২ শতাংশ।গতকাল বুধবার প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ(পিআইবি) সেমিনার হলে পিআইব আয়োজিত আলোচনায় সহযোগিতা করে সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপম্যান্ট সাকমিড। সভাপতিত্ব করেন পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক শামিম রেজা, নারী বাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক আমিনা ইসলাম,বাংলাভিশনের নিউজ এডিটর মোস্তাফা কামাল,বিবিসি মিডিয়া একশন বাংলাদেশ-এর পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাহরিন হাসান মৌ। এপ্রিল ২০২২ হতে জুন ২০২২ তিনমাসের সংবাদ প্রতিবেদন পর্যবেক্ষন তুলে ধরেন সাকমিড মিডিয়া মনিটরিং কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাকমিড ডেপুটি ডিরেক্টর সৈয়দ কামরুল হাসান।সংবাদ প্রতিবেদন পর্যবেক্ষনে দেখা যায় লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা সংবাদে নারীদের বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। তিনমাসে এক হাজার ৪১০টি সংবাদের ৩১ টিতে নারী প্রতিবেদকের নাম পাওয়া যায় যা ২ দশমিক ২০ শতাংশ। আর ৩৭৫টি সংবাদে পুরুষ প্রতিবেদকের নাম পাওয়া যায় যা ২৬ দশমিক ৬০ শতাংশ।টিভি চ্যানেলে সংবাদ উপস্থাপনায় নারীদের প্রাধান্য বেশি।৭১ দশমিক২৯ শতাংশ নারী এবং ২৮ দশমিক ৭১ শতাংশ পুরুষ সংবাদ উপস্থাপনা করে। ২০৯ টি সংবাদে প্রথম চরিত্র হিসেবে নারী উপস্থাপন করা হয়। যা মাত্র ২০ দশমিক ৫৭ শতাংশ । আর পুরুষ প্রথম ব্যক্তি হন ৯১৩ টি সংসাদের যা ৬৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। সংবাদের বিশেষ বিশেষজ্ঞদের মতামত দেয়ার ক্ষেত্রে কোন নারী বিশেষজ্ঞকে পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য দুইটি দৈনিক, দুইটি অনলাইন পোর্টাল এবং দুইটি টিভি চ্যানেলের সংবাদ পর্যালোচনা করা হয়।