উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আরও ৪১৪ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২৪ আগস্ট ) বিকেল সাড়ে ৫টায় ১৫ দফায় ১৩টি বাসে করে রওয়ানা করেন তারা।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন অতিরিক্ত কমিশনার শাসমুদৌজ্জা নয়ন। তিনি বলেন, ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গাদের একটি দল বিকেলে ক্যাম্প ত্যাগ করেছে। রাতে তারা চট্টগ্রামে পৌঁছাবেন। পরদিন সকালে সেখান থেকে তাদের ভাসানচরে যাওয়ার কথা রয়েছে।রোহিঙ্গা নেতা হাফেজ জালাল আহম্মদ ও মোহাম্মদ হোসন জানান, ক্যাম্পে সহিংস ঘটনার কারণে আতঙ্কিত উখিয়ার কুতুপালং মেগা ক্যাম্পের অনেকে ভাসানচরে যেতে রাজি হয়েছেন। অথচ তারা আগে সেখানে যেতে চাননি। সম্প্রতি ১০ দেশের রাষ্ট্রদূত ভাসানচর এলাকা পরিদর্শন করায় সেখানে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের উৎসাহ বেড়ে গেছে।এ নিয়ে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ১৪ দফায় প্রায় ৩১ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠিয়েছে সরকার। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ১৪ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।উল্লেখ্য, মিয়ানমারের সেনাদের অভিযান থেকে প্রাণে বাঁচতে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট থেকে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা উখিয়া-টেকনাফ শরণার্থী শিবিরগুলোতে বসবাস করছেন। শরণার্থীদের চাপ কমাতে দুই বছর আগে অন্তত ১ লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।