সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে ২ বছরের শিশু কন্যা সন্তানকে আটকে রেখে মা বিউটি খাতুনকে বেধরক মারপিট ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। সে ওই গ্রামের রায়হান আলীর স্ত্রী ও একই গ্রামের বেল্লাল হোসেনের মেয়ে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। তাড়াশ থানার ওসি (তদন্ত) নূরে আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, উক্ত বিউটির প্রায় ১২ বছর আগে রায়হানের সাথে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দুইটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। প্রতিবন্ধী বড় মেয়ে হিমু (১১) ও ছোট মেয়ে রাইসা আক্তার রশ্নী (০২)। এ বিয়ের ৮ বছর পরে তার স্বামী সৌদি চলে যায়। তখন এ ২ কন্যা সন্তান নিয়ে মানবতের জীবনযাপন করে আসছিল। কারণ তার স্বামী বিদেশ টাকা পাঠাত শাশুড়ির ব্যাংক হিসাব নাম্বারে। এ হিসাব থেকে তাকে খরচ বাবদ কোন টাকা দেয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে ওই গৃহবধূ বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করত। এতেও শশুর বাড়ির পরিবারের পক্ষ থেকে বাধা দেয়া হয়। এরপর সে চাকরি ছেড়ে দিলে বাবা ও ভাই তার সংসারের খরচ বহন করে।শনিবার বিকেলে বিউটি তার ছোট মেয়ে রশ্নীকে তার শাশুড়ির কাছে রেখে বাবার বাড়িতে যায়। ওইদিন সন্ধার দিকে মেয়েকে আনার জন্য শশুর বাড়ি আসে । কিন্তু তার শশুরসহ পরিবারের লোকজন ওই শিশু সন্তানকে আটকে রেখে তাকে বেধরক মারপিট করা হয়। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে করা হয়। এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।